ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট তার নিজের পাসপোর্ট পেয়েছেন। দুই মাসের জন্য পাসপোর্ট তার জিম্মায় দিয়েছেন আদালত। এছাড়া চিকিৎসা করাতে এক মাসের জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) সম্রাটের আইনজীবীর আবেদনের পর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল আলম এ আদেশ দেন।
এদিন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। সম্রাটের আইনজীবী তার স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার ৬ জুলাই পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন। এছাড়া সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৬ জুলাই অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য নতুন দিন ধার্য করেন আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সম্রাটের আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ পারভীন হিরা। তিনি বলেন, এখন আর সম্রাটের বিদেশ যাওয়ার বাধা নেই।
সারাদেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। এরপর ২০২২ সালের ২২ আগস্ট সম্রাটকে জামিন দেন আদালত। তখন সম্রাটকে কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়। এগুলো হলো তার পাসপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। আর আদালতের অনুমতি না নিয়ে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। পরের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। অভিযোগপত্রে সম্রাটের বিরুদ্ধে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।